সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
দলের দুঃসময়েও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির শত্রু বিএনপি। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে আতাত করে চলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা। তাদের নিজ দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে। বিএনপির এক নেতা আরেক নেতার উপর হামলা করছে। জেলা ও মহানগর কমিটি নিয়েও নারায়ণগঞ্জ বিএনপি গ্রুপিংয়ের রাজনীতি করছে। কার গ্রুপ কেন্দ্রে থেকে কমিটি নিয়ে আসতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় রয়েছে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এতে করে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে এবং দ্বন্দ্ব বাড়ছে। সর্বশেষ ৪ মার্চ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ার সামনে জেলা বিএনপি নেতা রুহুল আমিন সিকদারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। রুহুলের দাবি ছাত্রদল নেতা শরীফ ও মামুনের নেতৃত্বে ওই হামলা ঘটে। আগেরদিন মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রুহুলকে মারধরের হুমকি দেয় শরীফ। ওই সময়ে তিনি জানান যেখানে রুহুলকে পাওয়া যাবে সেখানেই মারধর করা হবে।
রুহুল বলেন, `মামলা সংক্রান্ত কাজে সকাল ১০টায় আদালতপাড়ায় যাবার সময়ে শরীফ ও মামুনের নেতৃত্বে হামলা করে আমাকে মারধর করা হয়। পরে আমি দ্রুত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের চেম্বারে আশ্রয় নিয়েছি।`
এদিকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাতে বিএনপির মধ্যে বিএনপির দ্বন্দ্ব চরমে রয়েছে। আড়াইহাজারে সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের প্রধান শত্রু বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তার্জতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ । রূপগঞ্জে কাজী মনিরুজ্জামানের গ্রুপের সাথে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের গ্রুপের মধ্যে কোনো মিল নেই। একই অবস্থা সদর, বন্দর- সোনারগায়ে। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে এড সাখাওয়াতের সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে বিএনপির অন্য নেতাদের। মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত গ্রুপের পক্ষ থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে মামলাও হয়েছিলো।